#বীরভূম : গ্রামবাংলায় এখনও অনেক বাড়ির কর্ত্রী, চাল অথবা ধানের মধ্যে দামি গহনা লুকিয়ে রাখেন। ঠিক একইভাবে বীরভূমের এক গৃহবধূ চালের মধ্যে তার বহুমূল্যবান সাড়ে ছয় ভরি সোনার গহনা লুকিয়ে রেখেছিলেন।গৃহবধূর অজান্তে সোনা সহ সেই চাল বিক্রি করে দেন গৃহকর্তা৷ তাও আবার ফেরিওয়ালার কাছে৷ জানতে পেরে মাথায় হাত গৃহবধূর৷ এরপর যা হল--
জানা গিয়েছে, পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাংকের লকার থেকে সোনার গহনা এনে বাড়িতে রেখেছিলেন৷ লকারে রাখার আগে যাতে কেউ কিছু টের না পায় তার জন্য চালের ড্রামে লুকিয়ে রেখেছিলেন গৃহবধূ৷ এরপর ওই গৃহবধূ মেদিনীপুরের খড়গপুরে যান, তার ছেলের কাছে। সেখান থেকে ফিরে এসে চাল দেখতে না পেয়ে তার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। জানতে পারেন, ওই চাল বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।এমন ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমার অন্তর্গত হরিওকা গ্রামের গৃহবধূ অপর্ণা মন্ডলের সঙ্গে।
খোঁজ শুরু হয় ওই ফেরিওয়ালার৷ কিছুদিন পর তার খোঁজ মেলে৷ কিন্তু ফেরিওয়ালা জানান, তিনি ওই চাল এক আড়ৎদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন৷ ফেরিওয়ালাকে নিয়ে গৃহবধূ অপর্ণা মন্ডল হাজির হন ওই আড়ৎদারের কাছে৷ তিনিও জানান, চাল তো বিক্রি হয়ে গেছে৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন গৃহবধূ৷ এই পরিস্থিতিতে শ্রীকৃষ্ণপুর পাখুরিয়ার বরকত আলী নামে এক আড়ৎদার জানান, চাল বিক্রি করে দিলেও সোনার গহনা তার হেফাজতেই আছে৷ গহনার মালিক খুঁজে না পাওয়ায় নিজের কাছেই রেখেছেন৷
গৃহবধু উপযুক্ত প্রমাণ দিলে তার হাতে সমস্ত সোনার গহনা তুলে দেন আড়ৎদার৷ যার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা৷ বহুমূল্যবান ওই গয়না ফিরে পেয়ে খুশি অপর্ণা দেবী ও তার স্বামী কুমুদ রঞ্জন মন্ডল৷ আড়ৎদারের সততায় খুশি অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও৷
Madhab Dasনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।