বীরভূম: পাথরচাপুরির দাতাবাবা মেহবুব শাহের (র:স:) উরুস উৎসব ও মেলা থেকে আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেল এবছর। অন্যান্য বছর থেকে এ বছরের ১৩১ তম উরুস উৎসব ও মেলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কম সংখ্যক পুণ্যার্থী এসেছিলেন। শুক্রবার জেলা প্রশাসন ও মেলা কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন আয়ের হিসাব করা হয়। সেখান থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে এবছর নজরানা বাক্স থেকে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা এসেছে যেখানে গত বছরে প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা এসেছিল। খাসি এবং মুরগি পুণ্যার্থীরা দাতাবাবার উদ্দেশ্যে মাজারের দান করেন। সেগুলি নিলাম করে এবছর প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। যেখানে গত বছর ৩৯ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও মেলার স্টল থেকে ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয় হয়েছে এবার। গত বছরও প্রায় ওই একই টাকা স্টলের ভাড়া থেকে এসেছিল। এবছর মেলাতে আগত গাড়ি থেকে টোল ট্যাক্স আদায় করা হয়নি। বিগত বছরের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা মতো সেই খাত থেকে আয় হয়েছিল। অন্যদিকে এবছরের মেলাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকার বেশি।
গত ২৪ শে মার্চ হজরত দাতা মেহবুব শাহ ওয়ালির ১৩১ তম উরুষ মোবারক ও পাথরচাপরি মেলা শুরু হয় এবং সাত দিন সেই অনুষ্ঠান চলে। পবিত্র রমজান মাসে এই উৎসব এ বছর হওয়ায় পূর্ণার্থীরা কম এসেছেন বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
আরও পড়ুন: ১৯০২ সাল থেকে ঢং ঢং শব্দে ঘুম ভাঙত সিউড়ির, দীর্ঘদিন অকেজো সেই ঐতিহাসিক ঘড়ি!
রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকেও বহু পুণ্যার্থীরা এবছরের উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন। থেকে বেশ কিছু বাংলাদেশি মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে পাশাপাশি কিছু পরিমাণ সোনাও এসেছে পুনরার্থীদের হাত ধরে। বীরভূম জেলার সংখ্যালঘু উন্নয়ন আধিকারিক পিয়ালী মন্ডল বলেন, পবিত্র রমজান মাসে এ বছর এই উৎসব হওয়ার ফলে লোকজন কম এসেছিলেন তার জন্য আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়েছে।Subhadip Pal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum news, Fair