বীরভূম: টোটো, অটো আর মোটর ভ্যানের দাপটে সিউড়ি থেকে পাথরচাপুড়ি যাওয়ার বাসের চাহিদা কমে গেছে অনেকটাই। একসময় একটা বিরাট সংখ্যার মানুষ সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে চড়ে পাথরচাপুড়ি মেলার উদ্দেশ্যে যেত। ফলে বাস মালিকরাও অন্য সময়ের থেকে বেশি সংখ্যায় বাস চালাত এই রুটে।
মেলার কয়েকদিন অন্যান্য রুটের বাসকেও চালান হত এই রুটে। ৫ পাথরচাপুড়ি যাওয়ার বাস খুঁজে পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই জন্য সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের একটা অংশ খড়ি দিয়ে চিহ্নিত করা থাকত। বাসের সামনের কাঁচেও কাগজ লাগিয়ে লেখা হত 'পাথরচাপুড়ি যাইবে'৷
সেসব এখন অতীত। পাথরচাপুড়ি যাওয়ার জন্য জেলা বা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীদের একটা অংশই এখন টোটো, অটো বা মোটর ভ্যানের উপর ভরসা রাখছে৷ ফলে বাসের ভিড় কমে গেছে অনেকটাই। পাথরচাপুড়ির জন্য বিশেষ বাস চালানোর কথাও আর ভাবছেন না বাস মালিকরা। মেলাকে কেন্দ্র করে বাস মালিক ও বাস কর্মীদের অতিরিক্ত রোজগার এখন প্রায় বন্ধ বললেই চলে।
সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে পাথরচাপুড়ির দাতাবাবার মাজারের দূরত্ব মোটামুটি ১২ কিমি। টোটো বা ভ্যানে এই পথ যেতে বড় জোর আধ ঘণ্টা লাগে। রাস্তাও এখন বেশ সুন্দর। ফলে বাসের ভিড় এড়িয়ে আরামে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বসে বসে মেলায় পৌঁছানোর জন্য টোটো, অটো, ভ্যান এখন অনেকেরই প্রথম পছন্দ। এদের ভাড়াও বাসের তুলনায় খুব একটা বেশি নয়। ফলে মেলার সাত দিন পাথরচাপুড়ি যাওয়ার বাসের চেনা ভিড়টাই এখন উধাও।
Subhadip Pal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum, Birbhum news