#বাঁকুড়া: তীব্র দাবদাহ থেকে অবশেষে মিলল মুক্তি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে স্বস্তির বৃষ্টি শুরু হল বাঁকুড়া শহর জুড়ে। যদিও জেলার বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়নি বলেই জানা যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই শহরে বইতে শুরু করে ঠান্ডা হাওয়া, সাথে শুরু হয় কালবৈশাখীর লন্ডভন্ড করা ঝড়ো হাওয়া। সাথে নেমে আসে তীব্র বজ্রপাতসহ বৃষ্টি। বেশ কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে অবশেষে নেমে আসে স্বস্তি। ফলে গরমের প্রবল দাবদাহ থেকে কিছু সময়ের জন্য মুক্তি মেলে শহরবাসীর।
তবে একদিকে যখন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে শহরবাসী, অপরদিকে বজ্রবিদ্যুতের কারণে ঘুম উড়েছে মানুষের। তবে গত মঙ্গলবারের কালবৈশাখীর ঝড়ের প্রভাবে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার অন্তর্গত মেট্যাপাড়া এলাকার প্রায় ২২ টি বাড়ির এসবেস্টারস, টিন ও টালির চাল উড়ে যায়। আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে ওই পরিবারের বহু সদস্যরা।
আরও পড়ুন- ২৭-৩০ মে সম্পূর্ণ বন্ধ ব্যান্ডেল স্টেশন, কোন পথে চলবে লোকাল-এক্সপ্রেস ট্রেন?
পরিবারের সদস্যদের ঠাঁই হয় গাছ তলায়। বৃহস্পতিবার ফের কালবৈশাখীর তাণ্ডবের জের বাঁকুড়ায়। আপাতত খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত জেলায় সেইভাবে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন- ট্রাকে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবিনে বস্তা ভরে কী পাচার হচ্ছে? দুর্গাপুরে শোরগোল
বাঁকুড়া শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবাশীষ লাহা বলেন, "ঝড় বৃষ্টির ফলে গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া গেল। কিন্তু আগে আমরা ছোটবেলায় এত বাজ পড়তে কোনদিন দেখিনি। এই বেশ কয়েকদিন হল দেখছি বজ্রপাত খুব বেশি হচ্ছে এবং বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষ মাঠে রাস্তায় কাজ করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে।" আর এই বিষয় নিয়ে বৈজ্ঞানিক এবং রাজ্য সরকার উভয়ের একটু ভাবা উচিত বলে তিনি জানান। তবে এই বৃষ্টিতে পরিবেশ যেমন ঠান্ডা হয়েছে সেরকম সাধারণ মানুষেরও তীব্র তাপদাহের প্রবাহ দহন থেকে মুক্তি মিলেছে।
Joyjiban Goswamiনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bankura, Kalbaishakhi, Rainfall