হোম /খবর /বাঁকুড়া /
পেটভরে জৈব খাবার, আদিবাসী শিশুদের পড়াশোনা শেখাচ্ছে কল্যাণ সংঘ

Bankura News: পেটভরে জৈব খাবার, আদিবাসী শিশুদের পড়াশোনা শেখাচ্ছে কল্যাণ সংঘ

X
বিষ [object Object]

প্রতি ছাত্র-ছাত্রী প্রিমাসে মাথাপিছু পায় চার টাকা অনুদান। তবুও সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত হচ্ছে শাক-সবজি। বিনামূল্যে শিক্ষিত হচ্ছে আদিবাসী শিশু

  • Share this:

    বাঁকুড়া: রাসায়নিকভাবে চাষ করা খাবারের প্রতি মানুষের বেজায় আকর্ষণ। কিন্তু এর থেকেই ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর পরিণতি। দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক অসুস্থতা। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ইনঅরগ্যানিক ফুড-এর হাতছানি এড়াতে হবে, তৈরি করতে হবে জৈব খাদ্যাভ্যাস। সেই পথেই এগিয়ে চলেছে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া ব্লকের গোগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাঁদড়া গ্রাম।

    এই গ্রামে ১৯২৭ সালে স্থাপিত হয় কল্যাণ সংঘ। এই প্রতিষ্ঠান আদিবাসী বাচ্চাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করে আসছে আজও। তৈরি করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের জৈব খাদ্যাভ্যাস। কল্যাণ সংঘের ভিতরে সোসাইটি গ্রাউন্ড-এ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে গোবর সার সহযোগে চাষ করা হচ্ছে সব রকমের সবজি এবং ফল। ছাত্র-ছাত্রীদের সকালের প্রাতরাশ থেকে রাতের নৈশ ভোজ পর্যন্ত প্রত্যেকটি খাবারই আসে এই জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলগুলি থেকে। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত এই খাবার খেয়ে শারীরিকভাবে সবল হচ্ছে আদিবাসী শিশুরা।

    স্বাধীনতার আগে থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাবলীল যাতায়াত ছিল এই কল্যাণ সংঘে।  আদিবাসী মহিলারা সকালবেলা কাজে যাওয়ার সময় তাঁদের সন্তানদের নিশ্চিন্তে রেখে যেতেন কল্যান সংঘে।  শিশুরা পেত সকালের প্রাতরাশ থেকে বিকেলের টিফিন পর্যন্ত।  খেলতে খেলতেই চলত পড়াশোনা। ১৯৭১ সালে রেজিস্ট্রেশন হয় এই সংঘের। ন্যাশনাল ক্রেস্ট অনুযায়ী, এক বছরের সামান্য বেশি থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চারা এই সংঘে শিক্ষার পাশাপাশি বিষমুক্ত খাবার পায়। তাছাড়াও এখানে এক্টিভিটি বেসড লার্নিং করানো হয়।Nilanjan Banerjee

    First published:

    Tags: Bankura