বাঁকুড়া : পর্যাপ্ত পরিমানে বাঁকুড়া জেলায় করোনা প্রতিষেধক টীকা মজুত রয়েছে অথচ সেই টীকা নেওয়ার আগের মত তেমন উৎসাহ নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও আগের তুলনায় করোনার গ্রাফ অনেকখানি আয়ত্তে এসেছে। দৈনন্দিন মৃত্যুসংখ্যা অনেকখানি কমেছে। তবে আগামী জুলাই-আগষ্টের মধ্যে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য দপ্তরে মজুত থাকা বেশ কিছু টিকার মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয়ে যাবে। মেয়াদ উত্তীর্ণের পরেই ফেলে দিতে হবে ঐ টিক লাগবে না কোন কাজে। ফলে ওই টিকা কিভাবে সময়ের মধ্যে কাজে লাগানো যায় সেই নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত এবং উদ্বেগ প্রকাশ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায় বাঁকুড়া জেলায় ষাটোর্দ্ধ মানুষের সংখ্যা ২, ৯৬, ৪৫৪ জন।
এর মধ্যে মাত্র ৪৭ হাজার জন প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টীকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যে ভিড় উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল বর্তমানে তা অনেকটাই কমেছে বলে জানা যায়। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ন'মাস পর বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা। কিন্তু বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ অনেকখানি কম বলেও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারাও স্বীকার করে নিয়েছেন। এই বিষয়ে বাঁকুড়া জেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শ্যামল সরেন বলেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য মানুষের যে আগ্রহ দেখা গেছে দ্বিতীয় ডোজ বা ষাটোর্দ্ধদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ ঠিক ততোটাই কম। দ্বিতীয় ডোজ ৫০ শতাংশ দেওয়া গেলেও বুস্টার ডোজ শতাংশের হিসেবে আরো কম। তবে ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সি.এম.ও.এইচ (৩) ডাঃ সজল বিশ্বাস বলেন, এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার বুস্টার ডোজ রয়েছে। কিন্তু উপভোক্তার সংখ্যা এর চেয়ে যথেষ্ট কম। আগামী জুলাই-আগষ্টের মধ্যে ঐ ডোজের একটা অংশের মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য ভবনকে আপাতত টীকা না পাঠানো ও একই সাথে এখানে জমা থাকা টীকা অন্যত্র কাজে লাগানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bankura, South Bengal