হোম /খবর /জ্যোতিষকাহন /
আচমকা মেজাজ ঠিক থাকছে না? জন্মকুণ্ডলীর প্রেত বাধা দূর হবে এই উপায় অনুসরণে!

Horoscope: আচমকা মেজাজ ঠিক থাকছে না? দূর হবে অশুভ শক্তি, জন্মকুণ্ডলীর প্রেত বাধা দূর হবে এই উপায় অনুসরণে!

দেখে নেওয়া যাক এই বিষয়ে বিস্তারিত, কী ভাবে প্রেত বাধা স্থানলাভ করে জন্মকুণ্ডলীতে, কোন উপায়ে মুক্তিলাভ সম্ভব!

  • Share this:
জ্যোতিষ অনুসারে আমাদের জন্মলগ্নে যে গ্রহ-নক্ষত্র অবস্থান করে, তার উপরে ভিত্তি করেই নির্ধারিত হয় জীবনের শুভাশুভ। মাঝে মাঝে দেখা যায় যে জন্মকুণ্ডলীর কিছু বিশেষ স্থানে কিছু বিশেষ গ্রহের অবস্থানের ফলে জাতক-জাতিকার জীবনে প্রভাব বিস্তার করে অশুভ শক্তি, একে বলা হয় প্রেত বাধা (Pret Badha)। দেখে নেওয়া যাক এই বিষয়ে বিস্তারিত, কী ভাবে প্রেত বাধা স্থানলাভ করে জন্মকুণ্ডলীতে, কোন উপায়ে মুক্তিলাভ সম্ভব!প্রেত বাধার কারণ:১. জন্মকুণ্ডলীর প্রথম ঘরে যদি চন্দ্র এবং রাহু একত্রে অবস্থান করে, তাহলে জাতক-জাতিকার জীবনে আসে প্রেত বাধা। পঞ্চম বা নবম ঘরে অশুভ যোগাযোগেও প্রেত বাধা প্রভাব বিস্তার করে।২. চন্দ্রের জন্মকুণ্ডলীর এক ঘর থেকে অন্যত্র গমনের উপরে ভিত্তি করেও প্রেত বাধার আবির্ভাব পরিলক্ষিত হয়।৩. জন্মকুণ্ডলীতে শনি, মঙ্গল এবং রাহু একত্র উপস্থিতি প্রেত বাধার অন্যতম কারণ।
৪. শনি, রাহু, কেতু, মঙ্গলের মধ্যে যে কোনও একটি যদি জন্মকুণ্ডলীর সপ্তম ঘরে অবস্থান করে, তাহলে জীবনে প্রেত বাধা দেখা দেয়।প্রেত বাধার লক্ষণ:১. পরিবারের সঙ্গে জাতক-জাতিকার সুসম্পর্ক নষ্ট হয়।২. জাতক-জাতিকা প্রিয়জনকে আঘাত দেন।৩. জাতক-জাতিকার দৃষ্টিবিভ্রম হয়।৪. জাতক-জাতিকা মন্দ আচরণ করেন, মাঝে মাঝেই ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ওঠেন।৫. জাতক-জাতিকার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।৬. জাতক-জাতিকার শারীরিক শক্তি অকারণেই বৃদ্ধি পায়।৭. জাতক-জাতিকা অসম্ভব কাজও অনায়াসে করে ফেলেন।৮. জাতক-জাতিকারা মাঝে মাঝেই চেঁচিয়ে কথা বলেন, অকারণে গলা সপ্তমে ওঠে।৯. জাতক-জাতিকার আচরণ নিয়ন্ত্রণের অতীত হয়ে ওঠে।১০. জাতক-জাতিকারা সব সময়েই রুক্ষ ব্যবহার করেন, আচরণে দেখা দেয় ঔদ্ধত্য।১১. জাতক-জাতিকার নিশ্বাস জোরে জোরে পড়ে, তার শব্দ ঘরে উপস্থিত সবাই শুনতে পান!১২. জাতক-জাতিকা আচমকাই ক্ষুধা-তৃষ্ণারহিত হয়ে পড়েন।প্রেত বাধা থেকে মুক্তির উপায়:১. ভূতভাবন ভূতনাথের আরাধনা করতে হবে, ওম নমঃ শিবায় মহামন্ত্র জপ করতে হবে ১১০০ বার।২. প্রতি সোমবার ১টি লেবু, ২১টি লবঙ্গ, ১টি একমুখী রুদ্রাক্ষ শিবলিঙ্গে অর্পণ করতে হবে।৩. রুদ্রাক্ষের মালা ধারণ করতে হবে।৪. পরিবারের বয়স্কদের অশুভ শক্তিকে গৃহত্যাগের অনুরোধ জানাতে হবে।৫. দেবী দুর্গা এবং বজরঙ্গবলীর নিত্য আরাধনা কর্তব্য।৬. জাতক-জাতিকাকে না জানিয়ে তার বালিশের নিচে পুরোহিতকে একটি লোহার তৈরি কাঁচি বা ছুরি স্বস্ত্যয়নের পরে রেখে আসতে হবে।৭. জাতক-জাতিকার ঘরে ধূপ জ্বেলে রাখতে হবে।৮. জাতক-জাতিকার ঘরের দেওয়ালে হনুমানজি, দুর্গা বা শিবের ছবি টাঙিয়ে রাখতে হবে।৯. ভুলেও অশুভ শক্তির উদ্দেশে কটূ কথা বলা যাবে না, তাতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে।১০. অশুভ শক্তির দৃষ্টি থেকে দূরে থাকতে হনুমান চালিশা পাঠ করতে হবে।১১. অশুভ শক্তির প্রভাব খর্ব করতে জাতক-জাতিকাকে কপালে হনুমান টিকা পরতে হবে।১২. অশুভ শক্তিকে দূরে রাখতে হাতে ধুতুরার একটি শাখা বেঁধে রাখতে হবে তাবিজের মতো করে।১৩. গৃহের প্রধান ফটকের সামনে একটি সাদা ফুলের গাছ লাগাতে হবে।১৪. গৃহের প্রতি কোণে গঙ্গাজলের ছড়া দিতে হবে।১৫. কালো কাপড়ে একটি নারকেল, জাতক-জাতিকার এক টুকরো নখ, ১০০ গ্রাম তিল বেঁধে তা শনিবার নদীতে ভাসিয়ে দিতে হবে।
Published by:Pooja Basu
First published:

Tags: Horoscope