কলকাতা: পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।
এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৫ মার্চের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৩০ ফাল্গুন। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বুধ এবং এই অষ্টমী তিথি থাকবে ১৫ মার্চ দুপুর ৩টে ০৩ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি।
আরও পড়ুনঃ ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন কোনটি? কটা ইঞ্জিন প্রয়োজন হয় এই ট্রেন চালাতে? ৯৯% মানুষেই উত্তর অজানা
১৪২৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মীন সংক্রান্তি, শীতলা অষ্টমী, কালাষ্টমী এবং বুধ অষ্টমী ব্রত পালন করা হবে।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৫ মার্চ সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ০১ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৫টা ৫৩ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৬ মার্চ রাত ১২টা ২৪ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৬ মার্চ দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথির নক্ষত্র হল মূলা। ১৬ মার্চ, রাত ৩টে ০৪ মিনিট পর্যন্ত মূলা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবেন পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন কুম্ভ রাশিতে ১৫ মার্চ, ভোর ৬টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত; এর পরে গমন করবেন মীন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন বৃশ্চিক রাশিতে ১৫ মার্চ, সকাল ৭টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত; এর পরে গমন করবেন ধনু রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৫ মার্চ মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে দুপুর ১টা ৫৬ মিনিট - দুপুর ৩টে ৩১ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ১৫ মার্চ পড়েছে ভোর ৬টা ০১ মিনিট - সকাল ৭টা ৩৬ মিনিট, সকাল ৯টা ৫৮ মিনিট - সকাল ১১টা ৩৩ মিনিট, দুপুর ৩টে ৩১ মিনিট - বিকাল ৫টা ০৬ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিট - রাত ৯টা ০৭ মিনিটে চার সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৫ মার্চ রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৮টা ৫৯ মিনিট - সকাল ১০টা ২৮ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangla Panjika, Panchang