পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।
এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৯ মে-র কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৪ জ্যৈষ্ঠ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শুক্র এবং এই অমাবস্যা তিথি থাকবে ১৯ মে রাত ৮টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি।
১৪৩০ বঙ্গাব্দের এই জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে উদযাপিত হবে অমাবস্যা ব্রত, বট সাবিত্রী ব্রত এবং শনি জয়ন্তী।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৯ মে সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৯ মে ভোর ৪টে ৩৬ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৯ মে সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথির নক্ষত্র হল ভরণী। ১৯ মে, সকাল ৭টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ভরণী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে কৃত্তিকা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন বৃষ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মেষ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৯ মে মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে সকাল ৬টা ০৩ মিনিট – সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট, সকাল ৯টা ৩৩ মিনিট – সকাল ১০টা ২৬ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ১৯ মে পড়েছে দুপুর ১২টা ১১ মিনিট – দুপুর ২টো ৪৯ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিট – রাত ৮টা ২৯ মিনিট দুই সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৯ মে রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ১০টা ০৬ মিনিট – সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Panjika