আলিপুরদুয়ার: দৈনিক ২৩২ টাকা মজুরিতে আর সংসার চলছে না। বাজারে জিনিসপত্রের দামে যেন আগুন লেগেছে, হাত দিলেই ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। সেখানে এই সামান্য টাকা দৈনিক মজুরিতে খাওয়া, পড়া, থাকা, সন্তানদের লেখাপড়া চালানো সম্ভব হচ্ছে না চা শ্রমিকদের। তাই তাঁরা ফের নুন্যতম মজুরি বৃদ্ধির দাবি তুলতে শুরু করেছেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম কমছে না, বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে চা শ্রমিকরা দৈনিক যে টাকা পান তা দিয়ে একটি সংসার ঠিক করে চালানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে সন্তানদের পড়াশুনো বন্ধ করে দিচ্ছে। রান্নার গ্যাস শেষ হয়ে গেলে নতুন গ্যাস কিনতে পারছে না। বাধ্য হয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। সেই কাঠ দিয়েই উনুনে জ্বাল দিয়ে দুটো ভাত ফুটিয়ে নিচ্ছে। যে দিন কাঠ পায় না, সেদিন খালি পেটেই থাকতে হয় চা শ্রমিকদের। এই পরিস্থিতিতে নুন্যতম মজুরি বৃদ্ধির দাবি জোরালো হচ্ছে চা বাগানজুড়ে। যদিও গতবছরই শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৫% বেড়েছিল।
আরও পড়ুন: অমৃত ভারতে নিউ আলিপুরদুয়ার, বিশ্বমানের স্টেশনের রূপ পাবে
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছিল ২০২ টাকা। তারপর দীর্ঘসময় ধরে উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। তারপর গতবছর ১৫ শতাংশ মজুরি বেড়ে তা ২৩২ টাকা হয়। কিন্তু অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে তাঁদের দাবি, নুন্যতম মজুরি বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করা হোক।
অনন্যা দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar news