#আলিপুরদুয়ার: চাষের জমি উর্বর রাখতে নিজেদের উদ্যোগে জৈব সার তৈরি করছেন আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকার কৃষকরা। দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকাটি কৃষিকার্যের জন্য ব্লকে নামকরা। এলাকাটি কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন।এলাকার প্রায় পাঁচশোটি পরিবার কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
অতীতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে জমিতে কৃষিকাজ করতেন এলাকার কৃষকেরা। কিন্তু কৃষি জমিতে ঘনঘন রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে জমির উর্বরতা হারিয়ে যাচ্ছিল। ফলন কমে যাচ্ছিল।যারফলে আয়ের অঙ্ক কমে যাচ্ছিল তাদের। কীভাবে জমির উর্বরতা বজায় রাখা যায় এই প্রশ্ন মাথায় ঘুরতে থাকে কৃষকদের। এই ভাবনা থেকে জৈবসার তৈরীর কথা মাথায় আসে তাদের। এরপরই কালচিনি ব্লক কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। কৃষি আধিকারিকের পরামর্শে কেঁচো জৈবসার তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয় কৃষকদের পক্ষ থেকে। প্রথমে এলাকার একশোজন কৃষক মিলে কেঁচো জৈবসার তৈরীতে হাত লাগান। বর্তমানে এলাকার প্রতিটি কৃষক এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সকলে মিলে জৈবসার তৈরীর কারখানা শুরু করেছেন।যার নাম ছবি ফার্মার্স প্রডিউসারস কোম্পানি লিমিটেড।
জৈবসার তৈরী হয়ে গেলে তা নিজের কৃষিজমিতে প্রয়োগ করেন তারা। দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকাটি ধান চাষের জন্য ব্লকে জনপ্রিয়। তার পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির চাষ করেন এলাকার কৃষকরা। বর্তমানে বেগুন,লঙ্কার চাষ চলছে এলাকায়। এলাকার এক কৃষক নল ঠাকুর জানান, "নিজেদের তৈরী জৈবসার প্রয়োগ করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জমিতে সব ফসলের ফলন ভালো হচ্ছে। এই সবজি বাইরের বাজারে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছি।এটাই বড় পাওয়া।" জৈবসার তৈরীর কারখানার এমডি ডালিম রাভা জানান, "কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে কেঁচো দেওয়া হয়। এই কেঁচো দিয়েই জৈবসার তৈরী করা হয়। বাইরের বাজারে তা বিক্রি করা হয়।খুচরো দশ থেকে বারো টাকা। টন হিসেবে আটশো থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হয় জৈবসার।"
কালচিনি কৃষি দপ্তরের সহ কৃষি অধিকর্তা প্রমোদ মণ্ডল জানান,\"জৈবসার তৈরি করতে চাওয়া কৃষকদের সাহায্য করা হয়েছে ব্লক কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে।যার জন্য এই কৃষকরা জৈবসার বাইরে বিক্রি করতে পারছেন।তারা যদি আরও বৃহদ আকারে কিছু করতে চান,তাহলে আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের সহায়তা করা হবে।"
অনন্যা দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar