#আলিপুরদুয়ার: অসমে প্রবেশের আগেই যাত্রীবাহী বাসে কাঠ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার ৪ জন। ঘটনাটি কালচিনি ব্লকের দমনপুর এলাকার। গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীররাত থেকে চলে বনদফতরের অভিযান।বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত নিমতি রেঞ্জের বনকর্মীদের কাছে খবর ছিল বিহারের দারভাঙা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস অসমের জোরহাট যাচ্ছে অবৈধ কাঠ নিয়ে।বিহার-অসম রুটের এই বাসটি গভীর রাতে নাহলে ভোর বেলায় আলিপুরদুয়ার জেলার জাতীয় সড়ক ৩১সিদিয়ে যাতায়াত করে।এই তথ্য অনুসারে নিমতি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সহ বনকর্মীরা তিনটি দলে ভাগ হয়ে জাতীয় সড়কের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নজরদারী চালাচ্ছিল।এই টিমগুলির নেতৃত্ব দেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প পশ্চিমের ডিএফডি প্রবীণ কাশওয়ান।
নিমতি রেঞ্জের পাশাপাশি এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়েছিল মোবাইল স্কোয়াড ১, এএফআর।জানা যায়, বুধবার ভোর ৩.৩০ টা নাগাদ বাসটিকে আটক করে,তল্লাশি চালায়।তল্লাশি চলাকালীন সেখান থেকে ৪৪ টি সেগুন ও ৫০টি শিরীষ কাঠ উদ্ধার হয়। বাসের ছাদে বস্তায় পেঁচিয়ে কাঠগুলি অসমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে বনদফতর সূত্রে খবর।এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তাদের নাম গুরমিত সিং, শঙ্কর রায়, রাহুল কুমার মহারাজা এবং রত্নেশ কুমার রাই।গুরমিত সিং অসমের জোরহাটের বাসিন্দা। বাকিরা বিহারের দারভাঙা, সীতামারী ও মাজুলিয়া জেলার বাসিন্দা। প্রত্যেককে বুধবার আদালতে পেশ করেছে বনদফতর।
এ বিষয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প পশ্চিমের ডিএফডি প্রবীণ কাশওয়ান জানান, 'এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাসটিকেও আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এদিকে বক্সার জঙ্গলে চোরা শিকারীদের অবাধ প্রবেশের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। জঙ্গলজুড়ে চলছে রেড অ্যালার্ট।চোরাশিকারীদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে এক চিতল হরিণের। ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ার জেলাজুড়ে। চোরাশিকারীদের এখনও হাতের নাগালে পায়নি বনদফতর। রাতভর তল্লাশি চলছে দলসিংপাড়া,হাসিমারা,হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকার জঙ্গলগুলিতে।চোরা শিকারীদের ধরতে বনদফতরের তরফে নামানো হয়েছে স্নিফার ডগ।
২০২১ সালের পর উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে ফের চোরা শিকারীদের আনাগোনার প্রমাণ মেলায় যথেষ্ঠ উদ্বিগ্ন বনদফতরের আধিকারিক থেকে কর্মীরা। বক্সায় ভিন রাজ্য থেকে বাঘ আনার পরিকল্পনায় বাঘেদের খাবারের যোগান সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে গত তিন বছরে ধাপে ধাপে প্রায় আটশো চিতল হরিণ ছেড়েছিল বনদফতর।ইতিমধ্যেই তাদের বংশবৃদ্ধির প্রমাণও মিলেছে। ফলে এক সময় বক্সার জঙ্গল থেকে চিতল হরিণ প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও, এখন ওই প্রজাতির হরিণের প্রাচুর্য বেড়েছে জঙ্গলে।
বনদফতর সূত্রে জানা যায়, ওই সুযোগ নিয়েই হরিণ শিকারের ঘটনা ঘটিয়েছে দুস্কৃতীরা। হরিণ হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে বনদফতরের স্নিফার ডগ করিমকে নামানো হয়েছে। ভার্নোবাড়ি বিট অফিস সংলগ্ন দলসিংপাড়া স্টেশনলাইন এলাকায় তল্লাশি চালায় বনকর্মী এবং স্নিফার ডগ।দলসিংপাড়া চা বাগানের পর ভার্নোবাড়ি চা বাগানে চলছে তল্লাশি।এই ঘটনার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে বনদফতর। যদিও বনদফতরের দাবি চোরা শিকারীদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।তদন্তের স্বার্থে আগামী পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করছে না বনদফতর।
অন্যন্যা দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar, Assam, Buxa