#আলিপুরদুয়ার: দু'বছর ধরে বাড়িতেই চলছে উপ ডাকঘর। বাজারের ভেতরের ডাকঘরের পরিস্থিতি বেহাল। আবর্জনায় ভর্তি এলাকা, সব সময় মল–মূত্র থেকে শুরু করে এঁটোকাটা,নেশার দ্রব্য ডাকঘরের বাইরে পড়ে থাকে, বৃষ্টি হলেই উপ ডাকঘরের ভেতর জমে জল।অসুবিধার মুখে পড়তে হত গ্রাহকদের। সাতপুকুরিয়া এলাকায় বসবাস প্রায় সাতশো মানুষের।ডাকঘরের গ্রাহক সংখ্যা শতাধিক। পরিকাঠামো ভেঙে পড়ায় লকডাউনের সময় ডাকঘর বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য হন পোস্ট মাস্টার। উপায় না পেয়ে সেখানে অফিস করাই বন্ধ করে দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে নিজের বাড়িতেই উপ ডাকঘর চালাচ্ছেন পোস্ট মাস্টার প্রদীপ দাস ।
ফালাকাটা ব্লকের পাঁচ মাইল সাতপুকুরিয়া উপ ডাকঘরের ঘটনা । উপ ডাকঘরের নির্দিষ্ট ঘরটি দ্রুত সংস্কার করার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীরা। জানাগেছে, ১৯৭২ সালে ফালাকাটা ব্লকের পাঁচ মাইল বাজারে অবস্থিত সাতপুকুরিয়া উপ ডাকঘরটি তৈরি হয়।তারপর থেকে সেখানে উপ ডাকঘরের যাবতীয় পরিষেবা পাচ্ছিলেন গ্রাহকরা । কিন্তু লকডাউনের সময় থেকেই পোস্ট মাস্টার পোস্ট অফিসটি নিজের বাড়িতেই চালাচ্ছেন।কিন্তু একটি সরকারি পোস্ট অফিস কি করে বাড়িতে চলতে পারে তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন: SSC চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠককে 'বেআইনি' বলে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর!সাতপুকুরিয়া উপ ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার প্রদীপ দাস বলেন, পোস্ট অফিসটি ভাড়ায় চলে।কিন্তু সেখানে নোংরা–আবর্জনার দুর্গন্ধে টেকাই দায়।ফলে বাধ্য হয়ে উপর মহলের নির্দেশে এখন বাড়িতেই পোস্ট অফিসের কাজ চালাচ্ছি।গ্রাহকদের প্রথম প্রথম অসুবিধা হলেও তারা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।বাজারে অবস্থিত পোস্ট অফিসটি যাতে পরিচ্ছন্ন করা হয় তার দাবিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।আশা রাখছি দ্রুত বাজারে পোস্ট অফিস শুরু করতে পারব।
Annanya Dey
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar, Alipurduar news