#দার্জিলিং: ১২৪ দিন পর অবশেষে পাহাড়ের পাকদণ্ডিতে আয়রন লেডি। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কোচে চেপে এবার থেকে ফের দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে হেরিটেজ ট্রেনের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে নভেম্বরেই পাহাড়ে আসছে ইউনেসকোর প্রতিনিধিদল। টয়ট্রেন নিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করতে চান। জিটিএ জানিয়েছে ডিসেম্বরে দার্জিলিঙে আন্তর্জাতিক পর্যটন উৎসবে টয়ট্রেনকে ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরতে চায় তারা।
৮ জুন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিন থেকেই টয়ট্রেন চলাচলে সমস্যা শুরু হয়। ৯ জুন থেকে শুরু হয় বনধ। সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় টয়ট্রেন চলাচল। অশান্তির আঁচ এসে পড়ে টয়ট্রেনের উপরও। হেরিটেজ কামরা জুড়ে বনধের সমর্থনে পোস্টার পড়ে। আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দেন সোনাদা, গয়াবাড়ি স্টেশনে। রক্ষা পায়নি কার্শিয়ঙে টয়ট্রেনের শতাব্দী প্রাচীন সদর দফতরও। টয়ট্রেনের হেরিটেজ সংস্কৃতি নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আদৌ হেরিটেজ তকমা রাখা যাবে কিনা সেই প্রশ্নও ওঠে ভারতীয় রেলের অন্দরমহলে।
দুর্গাপুজোর সময় থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। ফের টয়ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা প্রবল হয়। দু’সপ্তাহ আগে টয়ট্রেনে জঙ্গল সাফারি করানো হয় । কিন্তু মূল আকর্ষণের জায়গা পাহাড়ে রেল চলাচল শুরু হয়নি তখনও। অবশেষে বুধবার সকাল থেকে দার্জিলিং থেকে টয়ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়।একে, ট্রায়াল রান বলেই জানাচ্ছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। কারণ- দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ থাকা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লাইনের বেশ কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু জায়গায় ধসও নেমেছে। সেই জায়গাগুলোয় কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি অনুমতি না দিলে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। অবিলম্বে সেই জায়গাগুলি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে পুরোদমে শুরু হবে টয়ট্রেন।