• এ বার সন্দেহের তির ঘুরছে সুশান্তের ফ্ল্যাট-মেট সিদ্ধার্থ পিঠানির দিকে । রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওযার পর ইনিই প্রথম মুম্বই পুলিশের কাছে মুখ খুলেছিলেন । ইমেল পাঠিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, রিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে নাকি তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছে সুশান্তের পরিবার । পরে অবশ্য এই তথ্য অসত্য বলে দাবি করেন তিনি ।
• গতকাল, অর্থাৎ বুধবার রাতে সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং দাবি করেন, সিদ্ধার্থ হলেন একজন বুদ্ধিমান অপরাধী। বারবার বয়ান বদল করে, মিথ্যে সাক্ষ্য দিয়ে, ভুল তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন সিদ্ধার্থ ।
•শুধু তাই নয়, সিদ্ধার্থ আর সুশান্তের বাড়ির রক্ষীর মধ্যেও কথায় অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে । রক্ষী জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থ তাঁকে সে দিন সুশান্তের আত্মহত্যার ব্যাপারে কিছুই জানাননি । এমনকি সুশান্তের ঘরের লক খোলার জন্য যে চাবিওয়ালা ডেকে এনেছিলেন, লক ভাঙার পরও তাঁকে ফের গেট পর্যন্ত ছেড়ে আসেন সিদ্ধার্থ । সঙ্গে সঙ্গে দরজা খোলেননি তিনি ।
• চাবিওয়ালাকে আবার গেট পর্যন্ত ছেড়ে আসার পরেই সুশান্তের ঘর খোলেন তিনি । তার মানে কি সুশান্তের ঘরে ঢোকার জন্য তাঁর কোনও তাড়াহুড়োই ছিল না ? এরপর বন্ধুকে সিলিংয়ে ঝুলতে দেখেও কেন পুলিশ বা সুশান্তের পরিবারের কাউকে না ডেকে আগেই সিলিং থেকে সেই দেহ একাই নামিয়ে আনলেন ? রহস্য দানা বাঁধছে এইখানেও ।
• সুশান্তের দিদি মীতু যখন বান্দ্রায় এসে পৌঁছন, ততক্ষণে সুশান্তের দেহ নীচে নামানো হয়ে গিয়েছে । তা হলে কি সুশান্তকে জুলন্ত অবস্থায় কেউই দেখেননি? একমাত্র সিদ্ধার্থবাবুই দাবি করেছেন, তিনি দেখেছেন । আদৌ কি এই তথ্যের যুক্তি রয়েছে ?
• রাজপুত পরিবারের আইনজীবীর দাবি, সুশান্তের গলায় তাঁর পোষ্য ফাজের বেল্টের দাগ ছিল। অথচ, তাঁর গলায় ছিল পাতলা কাপড়ের ফাঁস । ওই বেল্ট দিয়েই সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর ।