Bankura News: কার্টুন চরিত্রদের হাত ধরে শিক্ষার পাঠ নিচ্ছে খুদে পড়ুয়ারা! বাঁকুড়ার স্কুলে দেওয়ালই যেন শিক্ষক! বিশ্বাস না হলে নিজেই দেখুন

আজকাল জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হচ্ছে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। এই অদৃশ্য এভোলিউশনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিক্ষা ব্যবস্থাও। শিক্ষা প্রদান এবং শিক্ষা গ্রহণের পুরো পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণ করে তুলতে নতুন নতুন চিন্তা ভাবনার উদ্ভাবন ঘটিয়ে এগিয়ে আসছে বিভিন্ন বিদ্যালয়। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

বাঁকুড়া জেলার ছাতনা বাইপাসের পাশে অবস্থিত ড্যাফোডিলস একাডেমি সেই ছক ভাঙা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে অন্যতম। এই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে জায়গা করে নিয়েছে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্ররা। তাছাড়াও রয়েছে বহু রংবেরঙের চিত্র এবং প্রত্যেকটি চিত্রই কিছু না কিছু শিক্ষামূলক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে খুদে ছাত্র-ছাত্রীদের।

ছাত্র বা ছাত্রীর সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই সিবিএসসি বোর্ডের আদলে চলে পঠন পাঠন। যোগা, ডান্স, জিমন্যাস্টিক ছাড়াও রয়েছে প্রকৃতি পাঠ এবং ল্যাবরেটরি বিষয়ক শিক্ষা প্রদান। খুদে ছাত্রছাত্রীদের মনে ভয় নয়, পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতেই স্কুলের দেওয়ালে ছবি এঁকে এবং বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার পুঁথিগত বেড়াজাল ভেঙে খেলার ছলে শিক্ষা প্রদান।

পঠনপাঠন চলাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের উন্মাদনা দেখলেই বোঝা যাবে ঠিক কতটা সাফল্য পেয়েছে এই ছকভাঙা পরিকাঠামো। আর কান চেপে বাবুরাম সাপুড়ে কবিতা মুখস্ত করা নয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে হৈ-হুল্লোড় করে কবিতা শিখছে বাঁকুড়ার খুদে পড়ুয়ারা।

"পড়াশোনার নাম বাবাজি" এই কথাটা আমরা অনেকেই শুনেছি। পড়াশোনা যদি বাবাজি হয় তাহলে অংক হচ্ছে সাক্ষাৎ যমদূত। হ্যাঁ ঠিকই গণিতের প্রতি বাচ্চাদের ভয় এতটাই। গণিতের জটিল সূত্র এবং প্যাঁচালো পদ্ধতি মাথায় ধরে রাখতে পারে না বহু কচিকাঁচারা।

বিদ্যালয়ের কর্ণধার সত্যেন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিদ্যালয়ে খেলার ছলে পড়াশোনার আবহাওয়া তৈরি করতে এমন চিন্তা ভাবনা। ছাত্রছাত্রীরাও যথেষ্ট আনন্দ পাচ্ছে। এতে আমাদেরও ভাল লাগছে। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)