Indian Railways: রাতের ট্রেনে যাতায়াত করেন? যাত্রীদের জন্য মস্ত বড় ধাক্কা...! টিকিট কাটার আগে অবশ্যই জানুন এই নির্দেশ
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Indian Railways: সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনার প্রভাবে রাতের ট্রেন যাত্রা নিয়ে আতঙ্কে যাত্রীরা। রায়ালসীমা এক্সপ্রেসে ডাকাতির ঘটনা তার মধ্যে আলোচনার শীর্ষে। চলতি মাসের শুরুর দিকে তাদিপাত্রি কোমলি স্টেশনের সিগন্যাল কেবল কেটে ট্রেন থামিয়ে লুঠ করে দুষ্কৃতীরা।
advertisement
1/8

*ভারতের মতো দেশে বিপুল জনসখ্যার এক বিশাল অংশ নিত্যদিন ট্রেনে যাতায়াত করেন। ট্রেন যেমন মানুষের যাতায়াত সহজ, আরামদায়ক করে, ঠিক তেমনই ট্রেনে জাতায়াতের খরচও হয় অনেকটাই কম। কিন্তু যাঁরা ট্রেনে যাতায়াত করেন, তাঁদের নিশ্চয়ই কিছু তথ্য ট্রেনে জেনে রাখা উচিৎ।
advertisement
2/8
*সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনার প্রভাবে রাতের ট্রেন যাত্রা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন যাত্রীরা। রায়ালসীমা এক্সপ্রেসে ডাকাতির ঘটনা তার মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে তাদিপাত্রি কোমলি স্টেশনের সিগন্যাল কেবল কেটে ট্রেন থামিয়ে লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। রেল ডাকাতির ঘটনায় উদ্বিগ্ন যাত্রীরা। দুর্বৃত্তদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। বিশেষ করে নারী, বৃদ্ধ ও পরিবার নিয়ে ভ্রমণকারীরা রাতে ভ্রমণে অনীহা প্রকাশ করছেন।
advertisement
3/8
*অভিযোগের ক্ষেত্রে গাফিলতি, যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষের কারণে এ ধরনের ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করা ভুক্তভোগীর সংখ্যা ট্রেনে কমেছে। কিছু লোক 'হারানো জিনিস ফেরত পাওয়া যাবে না', এই জন্য অভিযোগই করে না। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করার সাহস দেখালেও পুলিশ মামলা রুজু করছে না, চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে তেমন নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
advertisement
4/8
*ট্রেনে নিরাপত্তা কেমন? এ ধরনের হামলা ও ডাকাতি রেলওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করে। আরপিএফ (রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স) এবং জিআরপি (গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ)-এর মতো বিভাগগুলি কি ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে? সন্দেহ আছে।
advertisement
5/8
*ট্রেনে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে গুট্টি রেলওয়ে থানা এলাকায় কর্মীর অভাব একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০ জন কনস্টেবলের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১০ জন। রাতের ট্রেনগুলির রেল সুরক্ষা এবং এসকর্ট ডিউটিতে ত্রুটিগুলি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। গুট্টির উপর দিয়ে ট্রেনের সংখ্যা বেশি হলেও কর্মী সংখ্যা কম হলেও গুট্টির উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় অসংখ্য ট্রেন চলাচল করে, কিন্তু তাদের জন্য প্রয়োজনীয় জিআরপি এবং আরপিএফ কর্মীদের অপ্রাপ্যতা নিরাপত্তাকে দুর্বল করে তুলেছে। রাতের বেলা ট্রেনের এসকর্ট নামমাত্র হয়, এতে দুর্বৃত্তরা সুযোগ পেয়ে যায়।
advertisement
6/8
*৬০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে একটি মাত্র স্টেশন, সেখানে পুলিশের ওপর প্রচণ্ড চাপ। গুট্টি জিআরপি স্টেশনের পরিসীমা প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত প্রসারিত। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তীব্র শারীরিক ও মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। একই সময়ে একাধিক ট্রেন চলার সময় কোনও ট্রেনকে এসকর্ট দেওয়ার উপায় থাকে না। গত দু-তিন বছর ধরে জিআরপি বিভাগে কর্মরত কনস্টেবলদের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে মূল বিভাগে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু তাদের পদে নতুন কর্মী নিয়োগ না করায় ঘাটতি আরও বেড়ে যাচ্ছে।
advertisement
7/8
*নিরাপত্তার গাফিলতি দেখে দুর্বৃত্তরা যত্রতত্র সিগন্যাল তার কেটে ট্রেন থামিয়ে চুরি-ডাকাতি করে। রাতে যখন এসকর্ট চেয়ার খালি থাকে, তখন যাত্রীরা এমন পরিস্থিতিতে থাকেন যে তারা উদ্বেগ থেকে ট্রেনে ওঠেন। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে নতুন জিআরপি/আরপিএফ কর্মী নিয়োগ করতে হবে। ট্রেনের এসকর্ট শক্তি বাড়াতে হবে। প্রযুক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (সিসিটিভি, বডি ক্যামেরা, জিপিএস ট্র্যাকিং) প্রয়োগ করা উচিত। রাতে বিশেষ সার্ভিলেন্স টিম গঠন করতে হবে। নিরাপত্তার অভাব হলে ট্রেন চলাচলে মানুষের আস্থা কমে যাবে। গুট্টি রেলওয়ে স্টেশনে পর্যাপ্ত জনবল বরাদ্দ এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা দরকার।
advertisement
8/8
*যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য নতুন নীতিঃ কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা রেলকে এই ঘটনাগুলিকে হালকাভাবে নিতে হবে এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত সুরক্ষা অনুশীলন, রাতে চলাচলের সময় সিসিটিভি ক্যামেরা, রাতে টহল দেওয়া, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষ দল গঠনের মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি যাত্রীরা নিরাপদে ট্রেন ভ্রমণ উপভোগ করতে সক্ষম হয় তবে এই ধরনের ডাকাতির কঠোরভাবে মোকাবেলা করা জরুরি।