Health Tips: প্রেসার কুকারে ভাত করেন! বড় ভুল এটাই! আর কী কী রান্না করলে শরীরের বারোটা বাজবে জেনে নিন

খাবার রান্না করার জন্য অনেকে প্রেসার কুকার ব্যবহার করেন। বিশেষ করে প্রেসার কুকারে খুব দ্রুত সবজি, ডাল, চিকেন, খাসির মাংস রান্না করা যায়। অনেকেই আছেন যারা প্রেসার কুকারে ভাত রান্না করেন কারণ এতে দ্রুত রান্না হয়।

কুকারে কিছু জিনিস রান্না করা অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। অবশ্যই, এতে খাবার দ্রুত রান্না হয়, কিন্তু পুষ্টিগুণ কমে যায়।

কুকারে কখনও সবুজ শাকসবজি যেমন শাক, কেল ইত্যাদি রান্না করবেন না। এগুলিতে উচ্চ পরিমাণে নাইট্রেট থাকে। যখন উচ্চ তাপমাত্রায় কুকারে এই জিনিসগুলি রান্না করা হয়, তখন নাইট্রেটের মাত্রা বেড়ে যায়, যা নাইট্রোসামিনের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি মাংস এবং মাছের মতো আরও অনেক খাবারেও পাওয়া যায়। এটি কিছু ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি যদি শাকসবজি বা যে কোনও পাতাযুক্ত সবজি রান্না করেন, তবুও কম আঁচে রান্না করুন। না হলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। অন্যান্য সবজি কুকারে রান্না করলে, তাতে উপস্থিত ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাদ অকেজো হয়ে যায়।

বেশিরভাগ মানুষ তাড়াহুড়ো করে প্রেসার কুকারে ভাত রান্না করেন। এভাবে রান্না করা ভাত খেলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হবে। কুকারে ভাত রান্না করার সময় এমন একটি রাসায়নিক তৈরি হয় যা শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর। স্টার্চ অ্যাক্রিলামাইড নামক একটি ক্ষতিকারক রাসায়নিক নির্গত করে যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

ভাতের মতো আলুতেও স্টার্চ থাকে এবং পুষ্টি-বিরোধী উপাদান সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি প্রবেশ করতে বাধা দেয়। সেই কারণে কুকারে রান্না করা আলু খাওয়ার কোনও লাভ নেই।

প্রেসার কুকারে কখনও মাছ রান্না করবেন না। স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে। মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা কুকারে নষ্ট হয়ে যায়। মাছের মাংস নরম এবং একটি প্যানে কম সময়ে সহজেই রান্না হয়ে যায়।

মটরশুঁটিতে এমন একটি উপাদান থাকে যা কুকারে রান্না করার পরে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। এই উপাদানটি হল লেকটিন। যদি এটি সঠিকভাবে রান্না না করা হয় তবে এটি ক্ষতিকারক হতে পারে। পেট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। যখন কুকারে মটরশুঁটি রান্না করেন, তখন লেকটিন ভেঙে যায়, যা কিছু লোকের পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

পনির বা অন্য কিছুতে দুধ, দই যোগ করে যদি প্রেসার কুকারে রান্না করেন, তাহলে এই ভুলটি আর করবেন না। এতে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে। পনির যদি বেশি রান্না করা হয় তাহলে এর স্বাদ খারাপ হবে এবং যদি দই বা দুধ যোগ করা হয় তাহলে এটি জমাট বাঁধতে পারে।