এশিয়া কাপের মতো অনিশ্চিত আইপিএলও। বোর্ড সূত্রে খবর, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ টুর্নামেন্ট বাতিল ঘোষণা করতে পারে বিসিসিআই। করোনা সংক্রমনের জেরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ইতিমধ্যেই আইপিএল পিছিয়ে দিয়েছেন কর্তারা। কিন্তু ভারতে করোনা প্রভাব দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ১৫ এপ্রিলের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে আইপিএল করতে না পারলে আর আইপিএল হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তারপরই ভারতে বর্ষা চলে আসবে। এমনকি বিদেশী ক্রিকেটারদের পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে অন্য কোনও দেশে আইপিএল নিয়ে যাওয়া একটা ভাবনা থাকলেও করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি সেটা আদৌ কতটা সম্ভব সেই নিয়ে দ্বিধায় কর্তারা। ১৫ এপ্রিলের পর করোনা পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক হবে দেশে সেই নিয়ে কোনও আশ্বাস পাননি কর্তারা। বোর্ড কর্তারা অনেকভাবে চেষ্টা চালিয়েছিলেন আইপিএল করার জন্য। একাধিক বিকল্প ভাবনা তৈরি ছিল। ফরম্যাট পরিবর্তন করে ম্যাচের সংখ্যা কমিয়ে এমনকি বিদেশী ছাড়াও আইপিএল করার একটা ভাবনা ছিল। কিন্তু কোনভাবেই আইপিএলে সমস্যার সমাধান করতে পারছেন কর্তারা। সরকারের সঙ্গে একাধিকবার কথা বললেও কোনও রাস্তা বের হয়নি। শুরুতে আরও এক দফা আলোচনা হওয়ার কথা। সেখানে কোনও সমাধান না মিললে আইপিএল ১৩ বাতিল ঘোষণা করা হবে। শেষ পর্যন্ত আইপিএল করতে না পারলে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বে বোর্ড।
advertisement
এশিয়া কাপ, আইপিএল অনিশ্চিত হলেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী আইসিসি। ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাতিল হয়ে গেছে অলিম্পিক। এক বছর পিছিয়ে টোকিও ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে। এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউরো কাপ, কোপা আমেরিকা সহ খেলাধুলা একাধিক টুর্নামেন্ট।
ERON ROY BURMAN
