বৈশাখ মাস পড়বে আর কয়েক ঘন্টা পড়েই। শুধু নববর্ষ না, বাংলার এই মাস থেকেই শুরু হয় নানা সামাজিক অনুষ্ঠান। আর গৃহস্থ হোক বা মন্ডপ, সুসজ্জিত করতে দরকার পড়ে শোলার কাজের জিনিস। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সকলে নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও বদলায়নি কিন্তু জিয়াগঞ্জের এই পাল পরিবার। কমল কুমার পাল ও তার পরিবার বহু বছর ধরে আজও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে করে চলেছেন হাতের নিপুণ দক্ষতা দিয়ে শোলার এই কারুকার্য।
advertisement
আরও পড়ুন: গড়তেই হবে প্লাস্টিক মুক্ত এলাকা! হরিহরপাড়ায় বিডিও থেকে আধিকারিকরা যা করলেন, দেখলে অবাক হয়ে যাবেন
কাঁচামাল হিসাবে শোলা কখনও চাষি, কখনও পাইকারের কাছ থেকে নিয়ে কাঁচা শোলাকে রোদে শুকিয়ে দক্ষতার সঙ্গে ধারালো ছুড়ি দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে তৈরি করছেন বাহারি রঙের কদম, দোলুঙ্গি, চাঁদোয়া থেকে চাঁদ মালা ও আরও নানা রকমের সোলার সামগ্রী। যা এক সময়, রাজসভা থেকে দেবতার স্থান সাজিয়ে তোলার জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক পণ্য। এই শিল্পকাজের চাহিদা থাকে বৈশাখ মাস জুড়েই। অন্নপ্রাশন থেকে বিবাহ অনুষ্ঠান সব কাজেই দরকার পড়ে চাঁদ মালা, বিভিন্ন রকমের কদম ফুল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও এই কাজ এখন বর্তমান প্রজন্ম, রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশাসনিক দফতর সকলের হাতেই শোলার নানা কারুকার্য শুধুমাত্র এক গৃহসজ্জার সামগ্রী হিসেবেই রয়ে গেছে। তাই আজও সেই সব শোলার তৈরি কারুকার্য নিষ্ঠার সঙ্গে তৈরি করে আসছে জিয়াগঞ্জের এই পুরো পাল পরিবার।
শিল্পীদের কথায়, এই শিল্প শুধু তাঁদের রুজি – রুটি নয়! তাদের গর্ব অর্থাৎ তাদের পরিচয়। রেডিমেডের যুগে প্রায় হারিয়ে যাওয়া সেই শোলা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার এক সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই প্রতিটি পাল পরিবারের সদস্যের মুখে একটি কথা, “আমরা এই কাজ করি। আমাদের নিজের আনন্দের জন্য এবং আমাদের দ্বারা যে এই হারিয়ে যাওয়া কুটির শিল্প বেঁচে আছে এটাই আমাদের বড় পাওয়া।”
কৌশিক অধিকারী





