জানা গিয়েছে, বেদবোনা, জিগরী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় একাধিক বাড়ি। বাড়ি থেকে বার করে খুন করা হয় জাফরাবাদ এলাকায় বাবা-ছেলেকে। আতঙ্কে বাড়ি ঘর ছেড়ে মালদহ জেলায় আশ্রয় নেয় মহিলারা। গ্রামে এখনও মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশ কর্মীরা। মানবশূন্য গ্রাম আবারও ভোরে উঠছে মানুষের কোলাহলে। মালদহ থেকে ঘরছাড়ারা বাড়ি ফিরে এলেন সকলেই। যদিও গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি করছেন সকলেই।
advertisement
জানা গিয়েছে, ভিটেমাটি ছেড়ে সামশেরগঞ্জের বেতবোনা এলাকা থেকে পারলালপুর গ্রামে গিয়েছিল প্রায় ৮৫টি পরিবার। আশ্রয় শিবির থেকে সব পরিবার নিজের বাড়ি ফিরে এসেছে। জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে এবং জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে সবাইকে নৌকা ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা গঙ্গা ঘাট থেকে নিরাপত্তার সঙ্গে প্রত্যেককে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে পারলালপুরের আশ্রয় ক্যাম্পে আর কোনও পরিবার নেই।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, “পরিস্থিতি এখন শান্ত। সবাই বাড়ি ফিরে এসেছেন। মোট ১৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৯২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, যাঁরা চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা নিজেরাই বাড়ি ফিরে এসেছেন। আগের মতোই শান্তির পরিবেশ রয়েছে।” সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, ”যাঁরা গিয়েছিলেন, সবার বাড়ি ভাঙচুর হয়নি। অনেকে আতঙ্কে ঘর ছেড়েছিলেন। তাঁরা নিজেরাই ফিরে আসছেন।”
—- কৌশিক অধিকারী





