রাজ্যে যে পরিমাণ লিচুর চাহিদা থাকে তার বেশিরভাগটাই জোগান দেন রঘুনাথগঞ্জ ও তার আশপাশ এলাকা চাষিরা। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ দেখা দিয়েছে সমস্যা। তেমনভাবে ফলন হচ্ছে না লিচুর। আর লিচুর ফলন না হওয়ার জন্য বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে বাঙালির এই প্রিয় ফলের। একটি পূর্ণবয়স্ক গাছ থেকে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি লিচু পাওয়ার কথা। কিন্তু গত দু-তিন বছর ধরে দেখা যাচ্ছে সেই গাছ থেকে লিচু মিলছে ১০০ কেজির কাছাকাছি। অর্থাৎ ফলনের এই ঘাটতি হওয়ার কারণেই একদিকে যেমন লিচুর দাম বাড়ছে অন্যদিকে তেমনি লিচু চাষে উৎসাহ হারাচ্ছেন চাষিরা। শুধু তাই নয় লিচুচাষ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ এবং খরচসাপেক্ষ। লিচুর ফলন হওয়ার পর সেই ফলন টিকিয়ে রাখতে গিয়ে বিভিন্ন ওষুধ স্প্রে করতে হয়, তাছাড়া পাখির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জাল টাঙাতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: আম, লিচু অতীত! এবার নবাবের জেলায় হিমাচলের আপেল! তাক লাগালেন শিক্ষক, দেখেশুনে অবাক পড়শিরা
রঘুনাথগঞ্জ সহ আশাপাশ এলাকা থেকে বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে যেমন পৌঁছে যাচ্ছে লিচু দিল্লি, বেঙ্গালুরু, মুম্বই-সহ বড় বড় শহরগুলিতে। এমনকি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ভালই চাহিদা ছিল এই লিচুর। শুধু তাই নয় সৌদি আরবেও রফতানি হত রঘুনাথগঞ্জের বোম্বে লিচু। এবছর ফলন যথেষ্টই কম। আর ফলন কম থাকার জন্য লিচু প্রায় ২২০০ টাকাতে এক হাজার লিচু বিক্রি হচ্ছে খুচরো বাজারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলার এক কৃষি আধিকারিক বলেন, সমস্যাটা দু’বছর ধরে চলছে। মূলত খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণেই লিচু চাষে ফলন ও উৎপাদন দুটোই কমেছে। এই ফল নিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে আরও বেশি সময়োপযোগী করে তোলা যায়। তবে এখন বর্তমানে লিচু রওনা দিচ্ছে মুম্বই ও দিল্লিতেও।
কৌশিক অধিকারী





