জানা যায়, যে বাগানের লিচু বিদেশে রফতানি হত, এ বছর সেই সব বাগানে লিচু নেই বললেই চলে। সারাবছর এই বাগান থেকে যা রুজি রোজগার হত তা দিয়েই সংসার চলত লিচু বাগান মালিকদের। তবে এবছর ঘটল ব্যতিক্রম। লিচু কম ও সাইজে ছোট হওয়ায় মাথায় হাত মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা বেনিয়াগ্রামের লিচু বাগান মালিকদের।
advertisement
লিচু বাগান মালিক জানান, এই বছর লিচু এতটাই কম হয়েছে যে লিচুতে স্প্রে করা বাগান যোগানদার রাখা বা যাবতীয় খরচ উঠছে না। এছাড়াও লিচুর সাইজ ও খুব ভাল নয়। প্রত্যেক বছর এই বাগান থেকে ভিন রাজ্য ও বিদেশে লিচু রফতানি করার জন্য ক্রেতাদের ভিড় থাকত চোখে পড়ার মতো। মানুষ লিচু কেনার ও দেখার জন্য ভিড় জমাত। তবে সারাবছর কিভাবে সংসার চালাব সেই চিন্তা করছি।
ফলে, লিচুর মরশুম শুরু হয়ে গেলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বেচাকেনা। আশপাশের এলাকার মানুষের কেনার সামর্থ্য না থাকায় লিচুর চাহিদাও নিম্নমুখী। দেখা যায় ছোট লিচুর কুড়ি তপ্ত রোদে শুকিয়ে গিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। চাষীদের কথায়, এমনিতেই আকাশে বৃষ্টি নেই। ফলে লিচুর ফলন কম। তার উপর যদি গাছের পাকা লিচু বিক্রি করতে না পারি তা হলে পুরো টাকাটাই জলে চলে যাবে।’
কৌশিক অধিকারী





