পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার হীরালালের বলাগরের নাটাগর এলাকায় রয়েছে তার পাটকাঠির তৈরি এক পাঠশালা। যেখানে সমাজের পিছিয়ে পড়া বাচ্চারা এসে পড়াশোনা করে। তাদের সমস্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন এই হীরালাল। এবার তার পাঠশালাতেই এসে হাজির খোদ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার সহ অন্যান্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও নেশায় শিক্ষক, হীরালাল প্রতিদিন সকাল ন’টা থেকে এগারোটা পর্যন্ত আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৩০ জন পিছিয়ে থাকা শিশুকে বিনামূল্যে পড়ান। এই অঞ্চলে আদিবাসী মানুষের সংখ্যা বেশি এবং তাদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। ফলে এই শিশুরা প্রাইভেট টিউশন নিতে পারে না। তাদেরকে গৃহ শিক্ষকতার সমস্ত দায়িত্ব বিনামূল্যে করিয়ে আসছে সিভিক ভলেন্টিয়ার হীরালাল।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
হীরালাল এই শিশুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে নিয়মিত তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ক্লাস শেষে প্রতিদিন তিনি তাদের হাতে তুলে দেন লজেন্স এবং বিস্কুট, যাতে তারা পড়াশোনার প্রতি আরও উৎসাহী হয়। শুধু শিক্ষাদান নয়, হীরালাল শিশুদের মানবিক মূল্যবোধও শেখাচ্ছেন, যা তাদের ভবিষ্যতে ভালমানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই শিশুদের শিক্ষার প্রয়োজনে যা যা লাগবে, তারা সেই সব সহযোগিতা করবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার বলেন, “হীরালালের মতো সিভিক ভলান্টিয়াররা আমাদের সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা। তার এই কাজ সত্যিই প্রশংসনীয় এবং এরকম উদ্যোগকে আমরা সবসময় সমর্থন করব।”
হীরালাল নিজে বলেন, “শিশুদের পড়ানোর সময় যে আনন্দ পাই, তা অন্য কোনো কাজের সঙ্গে তুলনীয় নয়। এরা যদি বড় হয়ে শিক্ষিত হয়, সমাজের মূলস্রোতে যুক্ত হতে পারে, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।”





