ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রণালয় জাতীয় মিশন পরিষ্কার গঙ্গা, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফরাক্কার গান্ধী ঘাটে ইলিশ মাছ সংরক্ষণ করে রাখে। তারপর সেই ইলিশ মাছ গঙ্গার উচ্চগতিতে ছাড়ে। কারণ, ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের ব্যারেজের জন্য গঙ্গার নিম্নগতি থেকে ইলিশ মাছ উচ্চগতিতে আসতে পারে না। যে কারণে ফরাক্কা থেকে উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত গঙ্গার তীরবর্তী মৎসজীবিরা ইলিশ মাছ মেলেনা।
advertisement
আরও পড়ুন: নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ! তদন্ত শুরু ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশের
তাই ফরাক্কার উচ্চগতিতে ইলিশ মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রণালয়, জাতীয় মিশন পরিষ্কার গঙ্গা “নবমী গঙ্গে” নামে একটি প্রকল্প গঙ্গা নদীতে ইলিশের মৎস্য উন্নয়নের কাজ করে। সারা বছর মৎসজীবিরা এক প্রকার মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করতে পারে। ইলিশ মাছের পাশাপাশি অন্যান্য মাছের বৃদ্ধি করতে ৬২ হাজার মাছ ফরাক্কার গঙ্গার আপস্ট্রিমে ছাড়া হয় বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ৫১ বছরের অপেক্ষা শেষ, অভিষেকের উদ্যোগে অবশেষে মহেশতলার মানুষের মুখে চওড়া হাসি
জলশক্তি মন্ত্রণালয় জাতীয় মিশন পরিষ্কার গঙ্গা, প্রকল্প সহায়ক করমবীর সিং এই প্রসঙ্গে জানান, “গঙ্গা নদীতে কিছু মাছ ছাড়া হয়। গঙ্গা নদীতে মাছের ঘাটতি না ঘটে সেই কারণে। এইদিন ইলিশ রেঞ্চিং সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় এবং গঙ্গা রক্ষা নিয়ে সচেতনতা বার্তা দেওয়া হয়। গঙ্গা নদী সংলগ্ন এলাকার মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়, নদীতে বিষপ্রয়োগ কিংবা ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। গঙ্গা আমাদের সম্পদ, একে রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।” এমনই বার্তা দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গঙ্গার জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের আয় বৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হবে বলে জানান।





