প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যাতে পাহাড় থেকে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে কোনরকম ভাবে রেশন বিলিবন্টনের অসুবিধা না হয় তার জন্য আগাম ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে বলেও জানান রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, অতীতের আমফান, ফনী, অশনি ও ইয়াস থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সরকার ও প্রশাসন ফ্লাড সেলটারগুলিকে আরও আধুনিক করে তোলার সঙ্গে রিলিফের দ্রব্য সামগ্রী মজুত এবং বিতরণের ব্যবস্থা করেছে।
advertisement
তবে, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মোকা’র মোকাবিলায় সব দিক থেকেই প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিন্তু এর গতি প্রকৃতি ও ক্ষমতা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে এমন উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে চিহ্নিত করে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সমস্ত জরুরী পরিষেবা প্রদানকারী দফতরগুলিকে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ওই সময় সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করতে।
মন্ত্রী জানান, যেহেতু দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মায়ানমার অভিমুখ যেতে পারে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। সেটা যদি হয়, তাহলে এদিকে অর্থাৎ দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম হতে পারে। মোকার আতঙ্কে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা জমি থেকে ফসল তুলে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নাচ গানে মিলিত আট থেকে আশি, সীমান্ত শহরে প্রভাত ফেরির মধ্য দিয়েই কবি প্রণাম
বিগত দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে জেলার চাষীদের। তাই কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকেও বনগাঁ শহর জুড়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। কৃষকদের উদ্দেশ্যে আবেদন করা হচ্ছে পাকা ধান কেটে নেওয়ার জন্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগের গতি প্রকৃতির ওপর এখন নজরদারি রাখা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বলেও জানা গিয়েছে।
Rudra Narayan Roy





