শীতকালে চা থেকে তরকারি, আদা ছাড়া চলবে না। মশলাদার গন্ধের সঙ্গে তীক্ষ্ণ স্বাদের আদা অনাক্রম্যতা বাড়াতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু সমস্যা হল, আজকাল নকল আদায় ছেয়ে গিয়েছে বাজার। এটা যে শরীরের কতটা ক্ষতি করছে, কল্পনাও করা যায় না। তাই নকল আদা সনাক্ত করতে শেখা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আসল এবং নকল আদার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করার কয়েকটা টিপস দেওয়া হল।
advertisement
পরিষ্কার আদা: আদা যদি পরিষ্কার হয়, খোসা যদি চকচক করে তাহলে সেটা নকল। ভুলেও সেই আদা কেনা উচিত নয়। ফলন মাটির নীচে হয় বলে আদার মধ্যে কিছু মাটি থেকে যায়। যদি আদা খুব পরিষ্কার দেখায়, তাতে মাটির কোনও চিহ্ন না থাকে এবং কোনও গন্ধ না থাকে, তাহলে অবশ্যই সেটা নকল আদা।
আদার খোসা: আসল আদার খোসা খুব পাতলা। নখ দিয়ে টেনে ছিঁড়ে ফেলা যায়। আদার খোসা ছাড়ানোর সময় তীক্ষ্ণ গন্ধ নাকে আসে। আর যদি আসল আদা না হয়, তাহলে খোসা শক্ত হবে, নখ দিয়ে ছেঁড়া সহজ হবে না।
আরও পড়ুন : কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? আয়ুর্বেদের এই পাঁচটি নিয়ম মানলেই হবে মুশকিল আসান!
আদার গন্ধ: আদা চেনার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গন্ধ। আসল আদার তীক্ষ্ণ গন্ধ থাকবে। নকল আদার কোনও গন্ধ থাকে না। ইদানীং আদার নামে পাহাড়ি গাছের শিকড় শুকিয়ে বিক্রি করছে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী। এই শিকড়ের কোনও গন্ধ তো নেইই, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতাও শূন্য।
আদার মধ্যে ফাইবার: আদা ভাঙলে দেখা যাবে পাতলা সুতোর মতো বেরিয়ে আসছে। এগুলো আসলে ফাইবার। নকল আদার মধ্যে এই ফাইবার নেই।
ঝাঁঝালো স্বাদ: স্বাস্থ্যকর হওয়ার পাশাপাশি আদা খাবারের স্বাদও বাড়ায়। এটি কেনার আগে আদার ঝাঁঝালো স্বাদ আছে কি না দেখে নিতে হবে। এটাও আসল আদার চেনার অব্যর্থ উপায়।
