তবে শুধু হাতে নকশা ফুটিয়ে তুলতে নয়, পাকা চুল রঙ করতেও মেহেন্দির জুড়ি নেই। চুলকে পুষ্ট করতে এবং কন্ডিশনার হিসেবেও অনেকে মেহেন্দি ব্যবহার করেন। এতে চুল উজ্জ্বল এবং চকচকে হয়। ইদানীং অনেকেই মেহেন্দির বদলে রাসায়নিক ভিত্তিক চুলের রঙ বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। চুলের ভাল তো হয়ই না, উল্টে ক্ষতি করে। রঙও বেশিদিন টেঁকে না।
advertisement
বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ চুলের রঙে অ্যামোনিয়া, ইথালোনামাইন, ডায়েথালোনামাইন, ট্রাইথালোনামিনের মতো উপাদান রয়েছে। এগুলো নিয়মিত লাগালে অ্যালার্জি, শুষ্ক ত্বক, চুলের ডগা ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই চুল রঙ করতে ফের মেহেন্দির দিকেই ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরাও বলেন, আয়ুর্বেদিক ভেষজে ভরপুর মেহেন্দি চুলের রঙের সেরা বিকল্প।
আরও পড়ুন : জিনিসগুলো দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন বিশুদ্ধ আইলাইনার, সৌন্দর্যের সঙ্গে চোখও ভাল থাকবে
মেহেন্দি ব্যবহারের কিছু সুবিধাও রয়েছে। তাই চুল রঙ করাতে ধনী থেকে দরিদ্র, সবার পছন্দ এই ভেষজ। খরচ নামমাত্র। চুলে লাগানোর জন্য সেলুনে যাওয়ারও দরকার নেই। বাড়িতেই লাগিয়ে নেওয়া যায়। মেহেন্দি পাতা ছিঁড়ে পেস্ট তৈরি করে নিলেই হল। ইদানীং তো রেডি টু ইউজ প্রিমিয়াম মেহেন্দির ক্রিমও বাজারে পাওয়া যায়। যাঁদের হাতে খুব বেশি সময় নেই, তাঁদের কাছে এটা আশীর্বাদস্বরূপ। চুলে রঙ করার পর যেমন শ্যাম্পু কিংবা কালার ফিক্সার লাগে, মেহেন্দি লাগানোর পর তেমন কোনও দামি আফটার কেয়ার প্রোডাক্টেরও প্রয়োজন হয় না।
ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে মেহেন্দির রঙেরও পরিবর্তন করা যায়। ডালিমের খোসা, নীল, বিটরুট ইত্যাদি মিশিয়ে শুধু কমলা রঙের বদলে কালো, বাদামি কিংবা তামাটে রঙও আনা যায়। মেহেন্দির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট চুল পেকে যাওয়ার হাত থেকেও বাঁচায়। মেহেন্দি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। এতে ভিটামিন ই এবং ট্যানিন রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে চুলকে নরম করে। এছাড়া মেহেন্দি চুলে পুষ্টি যোগায়, গোড়া শক্ত করে। মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতেও এর জুড়ি নেই।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
