পটনা: বিহারে ফের এনডিএ-রাজ। দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত হিসাবে বিহারে ১৯২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ শিবির। বিরোধী শিবির এগিয়ে রয়েছে ৪৬টি আসনে। শাসক এবং বিরোধী জোটের মধ্যে ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পেল। বিহারের এমন পরিস্থিতির মাঝেই হঠাৎ বাংলা নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ৷ জানিয়ে দিলেন, বিহার তো হল, এবার তাঁদের ‘নেক্সট টার্গেট’ বেঙ্গল৷ প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালেই পশ্চিমবঙ্গে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন৷ এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেন, ‘‘যাঁরা এখনকার বিহারকে চেনেন, তাঁরা জানেন বিহার আর ‘জঙ্গল রাজ’ চায় না৷ বিহারের মানুষ আর অরাজকতা পছন্দ করেন না, না তাঁরা চান কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে৷’’
advertisement
আর এর পরেই মুখ খুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিহার ভোটের রেজাল্ট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অন্দরের আলোচনা নিয়ে কুণাল বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেন।
কুণালের মতে,
১. ওটা বিহারের সমীকরণ। বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। বাংলায় প্রভাব পড়বে না। বাংলায় উন্নয়ন, ঐক্য, সম্প্রীতি, অধিকার, আত্মসম্মান ফ্যাক্টর। ২৫০+ আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী।
২. কংগ্রেস যে বিজেপি বিরোধিতায় ব্যর্থ, সেটা আবার প্রমাণিত এবং বারবার প্রকট।
৩. বিহারে বিজেপি-নীতিশ সম্পর্ক কোন দিকে যায়, কৌতূহল থাকবে।
৪. বাংলায় SIR ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিজেপি ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চক্রান্ত থাকবে। এজেন্সি ও কেন্দ্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার হবে। এর বিরুদ্ধে তৃণমূলের আন্দোলন চলবে। মানুষের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগে বিজেপির সব চক্রান্ত ব্যর্থ করবে তৃণমূল।
৫. বিহার দেখিয়ে বাংলাকে হুমকি দিয়ে বিজেপির যে নেতারা বিবৃতি দিচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন, তাঁরা অকারণ সময় নষ্ট করছেন। বাংলার মানুষের অধিকার, আত্মসম্মানকে আঘাত করে, শুধু অন্য রাজ্য দেখিয়ে মানুষের ভালবাসা পাওয়া যায় না। এখানে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা। বিহার-সহ বহু রাজ্য তাঁর উন্নয়নের মডেল ফলোও করছেন। বাংলার মানুষ সার্বিক স্বার্থেই তৃণমূলকে সমর্থন করেন এবং করবেন।
