রামপুরহাট (Rampurhat Violence) সহ রাজ্যের সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় বার বার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি সহ বিরোধীরা৷ দিল্লিতেও এ নিয়ে দরবার শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারা৷ এর সঙ্গে কয়লা পাচার, গরু পাচারের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে বার বার রাজ্যের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি৷
আরও পড়ুন: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হেনস্থায় গ্রেফতার ছাত্রনেতা, রিপোর্ট নিতে মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের
advertisement
এ দিন পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দেশের অর্থনীতি শেষ হচ্ছে আর এরা ঘরে বসে চক্রান্ত করছে৷ সব বিরোধী রাজ্যের একজোট হওয়া উচিত৷ বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়৷ আর সেসব দেখে কিছু না ভেবে মানুষ উন্মাদের মতো নাচানাচি করছে৷ অনেক মিথ্যে জিনিস ভাইরাল হচ্ছে যাতে সমাজের, দেশের ক্ষতি হয়৷ অথচ সেটা সত্যি না মিথ্যে কেউ ভেবে দেখছে না সবসময় চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাড়িতে কালি ছেটানো যায়৷ আমার শাড়িতে কালি ঢালা হলে কীভাবে মোবিল ঢালতে হয় আমি জানি৷ রং না খেলা সত্ত্বেও৷'
মুখ্যমন্ত্রীর আরও হুঁশিয়ারি, 'কাউকে মেরে মৃতদেহ নবান্ন অভিযন করব, এসব করতে বারণ করুন৷ বিজেপি আপনারা বোকা আর সিপিএম দিচ্ছে আপনাদের ধোকা৷'
আরও পড়ুন: রামপুরহাট কাণ্ড 'পৈশাচিক', রাজ্যে পর পর হিংসার ঘটনা নিয়ে মমতাকে চিঠি বিশিষ্টদের
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'মধ্যপ্রদেশ থেকে গরু আসছে৷ উত্তর প্রদেশ থেকে কয়লার গাড়ি আসছে৷ যাচ্ছে আমাদের রাজ্যের উপর দিয়ে৷ উৎসটা অন্য রাজ্যে, সেটা তো আমাদের হাতে নেই৷ ইডি, সিবিআই, বিএসএফও আমাদের হাতে নেই৷ ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া দুমকায় আমাদের এসটিএফ একটি অস্ত্র কারখানার খোঁজ পেয়েছে৷'
মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, গত ১৩ দিনে ১১ বার পেট্রোল- ডিজেলের দাম বেড়েছে৷ দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসের৷ দেশের অর্থনীতির অবস্থাও খারাপ বলে বার বার এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর মতে, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সব দলকে নিয়ে আলোচনায় বসা৷ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতেই বিভিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে বিজেপি৷
