সমগ্র উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মোট ৯৪৩টি রেলওয়ে সেতুকে পথ ব্যবস্থার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮২টি সেতুতে ইতিমধ্যেই পথ তৈরি করা হয়েছে, এবং ৫৬১টি সেতুতে কাজ চলছে। ২০২৪-২৫ সালে, ৩২টি সেতুর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল। ২০২৫-২৬ সালের জন্য, ১০৯টি সেতুর পদপথ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৯টির কাজ ইতিমধ্যেই চলছে। আগামী পাঁচ বছরে, ৪৫২টি সেতু সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
advertisement
রঙিয়া ডিভিশনে অধিক সংখ্যক সেতু রয়েছে (২৫০), তারপরে লামডিং (২২৭), আলিপুরদুয়ার (২০০), কাটিহার (১৬৩)এবং তিনসুকিয়া (১০৩) ডিভিশনে রয়েছে।সেতুগুলিতে পথের ব্যবস্থা একাধিক সুবিধা প্রদান করে, এটি চলাচলের জন্য একটি নিরাপদ রুট প্রদান করে, রেল কর্মীদের জন্য বর্ধিত সুরক্ষা নিশ্চিত করে, দুর্ঘটনা ও আঘাতের সম্ভাবনা হ্রাস করে এবং নিয়মিত পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেতু পরিকাঠামো সহজে প্রবেশাধিকার প্রদান করে।
এই পথগুলি জরুরি অবস্থার সময় নিরাপদে অ্যাক্সেসযোগ্যতা প্রদান করে, যেমন যখন একটি রেক সেতুর উপর আটকে যায়, লোকো পাইলট এবং কারিগরি কর্মী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সুরক্ষা, নির্ভরযোগ্যতা এবং জনসাধারণের উন্নয়নের প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
এই প্রকল্পটি পরিকাঠামো আধুনিকীকরণ, রক্ষণাবেক্ষণ দক্ষতা উন্নত করা এবং যাত্রী ও কর্মীদের সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে -এর নিরন্তর প্রচেষ্টার উদাহরণ। এই ধরনের সক্রিয় পদক্ষেপের মাধ্যমে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জনবান্ধব রেলওয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার তার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করে চলেছে।
