সাগরমেলার পুণ্যার্থীদের কাছে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদী। নদীতে ক্রমাগত পলি জমার কারণে ভাটার সময় দিনে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ভেসেল পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়। ফলে মেলার সময় কাকদ্বীপের লট নং আট ও সাগরের কচুবেড়িয়ায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আটকে পড়ে। এবার সেই সমস্যা দূর করতে মুড়িগঙ্গা নদীতে নিয়মিত চলছে পলি কাটার কাজ। পাশাপাশি এবারের মেলায় ভেসেলের পাশাপাশি ৮টি বড় বার্জ চালানো হবে যাত্রী পরিবহণের জন্য। প্রতিবার আড়াই হাজার মানুষ বহন করা যাবে। পাশাপাশি কুয়াশার সময় ভেসেলগুলি পথ হারিয়ে অন্যত্র চলে গেলেও এবার দ্রুত খোঁজ মেলার জন্য জিপিআরএস বসানো হচ্ছে। এই জিপিআরএসের সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকবে মেলার মেগা কন্ট্রোলরুমের।এছাড়া কুয়াশার জন্য আধুনিক দিক নির্দেশনের আলো বসানো হবে। যেগুলি বিমানবন্দরে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: বরাদ্দ ছিল কয়েক কোটির BMW, মনমোহনের পছন্দের গাড়ি ছিল কোনটি? ফাঁস করলেন একসময়ের ছায়াসঙ্গী
মূলত পরিবহণ ব্যবস্থাকে মসৃণ করতে জেলা প্রশাসন একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন বছরের জানুয়ারির ৮ তারিখ থেকে শুরু গঙ্গাসাগর মেলা। কাতারে-কাতারে পুণ্যার্থীর সমাগম হয় সেখানে। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আরও তৎপর রাজ্য সরকার। গঙ্গাসাগর মেলায় এবার নিরাপত্তা ইসরোর প্রযুক্তি। ইসরোর সাহায্যে স্যাটেলাইট ও জিপিএস ট্র্যাকিং-এর ব্যবস্থা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাস, ভেসেল, লঞ্চে জিপিএস ট্র্যাকিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভেসেলে স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে ইসরোর সাহায্যে। যাতে ইন্টারনেটের গন্ডগোল বা জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের সমস্যা হলেও যাতে কোনও ভাবে কাজে অসুবিধা না হয় সেই কারণে ইসরোর সাহায্য নেওয়া হয়েছে।” এছাড়াও নজরদারি বাড়াতে নৌসেনাকে রাজ্যের ড্রোন ব্যবহারের পরমর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গঙ্গাসাগরে আমাদের যে মেগা কন্ট্রোল রুম থাকবে আমাদের ব্যবহার করতে হবে।”
