TRENDING:

Money Making Ideas: পরিত্যক্ত জমিতে করুন অশ্বগন্ধার চাষ! আয় করতে পারবেন মোটা টাকা

Last Updated:

Money Making Ideas: অশ্বগন্ধার চাষ করে পরিত্যক্ত জমিতে আপনি উপার্জন করতে পারেন মোটা টাকা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুর্শিদাবাদ: এখন প্রতিনিয়ত চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমছে। এই অবস্থায় পরিত্যক্ত জমিতে চাষ করে কৃষকদের আয় বাড়ানোর কাজে পরামর্শ দিচ্ছে রাজ্যের উদ্যান পালন দফতর। ওষুধি গাছ হিসেবে অশ্বগন্ধা চাষ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন কৃষকেরা মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরের কৃষকরা। ইসলামপুরে এখানেই চাষযোগ্য জমিতে অশ্বগন্ধার চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন এখন কৃষকরা।
advertisement

এর আগে ডোমকলের সারাংপুর, জিৎপুর, রমনা, বসন্তপুর প্রভৃতি এলাকায় পরিত্যক্ত জমিতে অশ্বগন্ধা চাষের ক্ষেত্র প্রদর্শনী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। মূলত এই ওষুধি গাছের চাষ এর শিকড় বা মূলের জন্য করা হয়। যার ওষুধি গুণ অপরিসীম। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে এই গাছের শিকড় ব্যাবহার করা হয়। ডোমকলের এই সমস্ত এলাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েই ইসলামপুরে চলছে এই চাষ।

advertisement

আরও পড়ুন: জরুরি অবস্থার জন্য কত টাকা জমানো উচিত, কোথায় রাখা উচিত? ছকে নিলে আর বিপদে দিশাহারা লাগবে না

অশ্বগন্ধা মূলত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এই গাছের পাতা সেদ্ধ করলে ঘোড়ার মূত্রের মতো গন্ধ বেরোয় বলে একে অশ্বগন্ধা বলা হয়ে থাকে। এই পাতার বৈজ্ঞানিক নাম ‘উইথানিয়া সোমনিফেরা ডুনাল’। আয়ুর্বেদে একে বলা হয় বলদা ও বাজিকরি। বা শীতকালীন চেরি। এটি ভারতের শুষ্ক অঞ্চলের অনেক স্থানে চাষ করা হয়। এটি নেপাল, চীন এবং ইয়েমেনে পাওয়া যায়। রৌদ্র ও আংশিক ছায়া জায়গায় এর উৎপাদন ভালো হয়। ডোমকল মহকুমার ইসলামপুরের একাধিক জাইগায় এই চাষ শুরু হলেও অন্যান্য চাষের থেকে খরচ কমে লাভবান বেশি বলে জেলার বিভিন্ন জাইগায় অর্শগন্ধা চাষে ঝোক বেড়েছে। তবে মাথায় রাখতে হবে বেশ কিছু পদ্ধতি।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: সোনার দাম কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে ? ২০৩৫ সালে কত হবে ১ ভরির দাম, জানলে চমকে যাবেন !

অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা: যেহেতু গাছগুলি খুব হালকা হয়, তাই শুরু থেকেই জমিতে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে নিড়ানির মাধ্যমে আগাছা নাশ করা যায়। তবে আগাছানাশক ওষুধ ব্যাবহার করেও নষ্ট করা যায়। এছাড়া, মাটিতে প্রয়োজন মতো রস রাখার জন্য মাঝে মধ্যে সেচ দেওয়া দরকার হয়। অবশ্যই এটা নির্ভর করে মাটির ধরনের উপর।সার প্রয়োগ: অশ্বগন্ধা চাষে খুব বেশি সারের প্রয়োজন হয় না। তবুও বীজ বোনার ৪০/৪৫ দিনের মাথায় প্রথম চাপান হিসেবে ৮ কেজি ১০ : ২৬ : ২৬ (এনপিকে) সার প্রয়োগ করে জল দিতে পারলে ভাল হয়। পরে ৬৫ থেকে ৭৫ দিনের মাথায় আরও একবার সার দিতে পারলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

advertisement

রোগপোকার নিয়ন্ত্রণ: যদিও এই চাষে খুব একটা রোগপোকার আক্রমণ হয় না। কুয়াশার জন্য গাছের পাতায় নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। এর প্রতিকারে ট্রাইকোডারমা ভিরিডি ৪ গ্রাম প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। অথবা সাফ পাউডার দু’গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করলে পোকা লাগে না। এর পরও যদি পোকার আক্রমণ হয় তো কোরডিটর এক মিলিলিটার প্রতি তিন লিটার জলে গুলে ভাল করে স্প্রে করে দিতে হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
১২ হাজার টাকা বিনিয়োগে লাভ ৬০ হাজার! চাষের কৌশলে বদল, 'এই' চাষ করে অঢেল কামাচ্ছেন চাষিরা
আরও দেখুন

কৌশিক অধিকারী 

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Money Making Ideas: পরিত্যক্ত জমিতে করুন অশ্বগন্ধার চাষ! আয় করতে পারবেন মোটা টাকা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল